তারেক জিয়ার ক্যাডার দিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন সম্ভব নয়!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর নিকট ধলঘাটা মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিগ্রস্থ মালিকগণের আকুল আবেদন- শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে মন্ত্রণালয় হতে পরিপত্র, অফিসাদেশ জারী করার পূর্বে আপনার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ তারেক জিয়ার ক্যাডার, বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর ধলঘাটা মৌজায় অর্থনৈতিক জোন গঠন প্রকল্পের অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দায়িত্বে থাকা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবদুল মোমেন সহ যারা পরিকল্পিতভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার প্রকল্প সমূহ বিনা কারণে বাস্তবায়নের পথে বাঁধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমি ক্ষতিপূরন প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ১৬৮ কোটি টাকা বরাদ্ধ প্রদান করিলেও কার নির্দেশে কি কারণে দায়িত্ব প্রাপ্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা তারেক জিয়ার ক্যাডার আবদুল মোমেন মাত্র ৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের চেক ইস্যূ করে বাকী ১৬০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণকে অদ্যাবধি প্রদান করেন নাই।

তার জবাব দিহীতা কি তার কাছে চাওয়া দরকার নয় কি? উক্ত প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণ তাহাদের একমাত্র বেচেঁ থাকার সম্ভল সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ করিয়া তথায় উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের কাজ চলিলেও জমির মালিকগণকে একটি ভিত্তিহীন অপর ২৭৭/২০১৮ নং মামলার অজুহাত দেখাইয়া উক্ত তারেক জিয়ার ক্যাডার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবদুল মোমেন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান না করায় উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় ভূমি মন্ত্রী, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বরাবরে এই মর্মে আবেদন করেন যে, এল.এ মামলা নং- ৫/১৭-১৮ মূলে অর্থনৈতিক জোন গঠন করার নিমিত্তে সরকার ধলঘাটা মৌজার ৪৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করেন।

উক্ত অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের জন্য সরকার ১৬৮ কোটি টাকা বরাদ্ধ প্রদান করার পর কয়েকজন জমির মালিককে মাত্র ৮ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করার পর ভিত্তিহীন অপর ২৭৭/১৮ নং মামলার তপশীলের বাদী পক্ষের দাবী ৩৫.৩৭ একর জমি বিরোধীয়।

উক্ত মামলায় বাদীর ৫টি খতিয়ানের ১১৭ একর জমির আন্দরে শুধুমাত্র ৩৫.৩৭ একর জমি বাদী পক্ষ দাবী করিয়া মামলাটি দায়ের করেন। বিবাদী পক্ষ জমির মালিকগণ উক্ত মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন করিলে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হইতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিলে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবদুল মোমেন উক্ত অপর মামলার বাদী বিবাদী উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করিয়া দুইবার তাহার কার্যালয়ে শুনানী গ্রহণক্রমে মামলার বিরোধীয় অর্থাৎ বাদী পক্ষের দাবীকৃত ৩৫.৩৭ একর জমির ক্ষতিপূরণ প্রদান মামলা নিস্পত্তির কালতক বন্ধ রাখিয়া অবশিষ্ট অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন এবং উক্ত সিদ্ধান্ত বিবাদীপক্ষ মানিয়া নিতে সম্মত আছেন মর্মে ৩০০/- টাকা মূল্যমানের নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে জমির মালিকগণের নিকট হইতে অঙ্গিকারনামা গ্রহণ করেন এবং বিগত ২৩/০৫/২০১৯ইং তারিখে জমির মালিকগণকে ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণ করার জন্য তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হইলে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণ যথারীতি ২৩/০৫/২০১৯ইং তারিখ ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা তারেক জিয়ার ক্যাডার আবদুল মোমেনের কার্যালয়ে হাজির হইলে তিনি বিকাল ৫টায় অফিসে আসিয়া ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণকে জানান যে, জেলা প্রশাসক সাহেব তার কাছ থেকে উক্ত প্রকল্পটি প্রত্যাহার করিয়া অন্য একজন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ এর নিকট হস্তান্তর করেন বলে জানাইয়া তিনি দ্রুত অফিস ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান।

ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণ মওদুদ আহমদ এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি জানান যে, তাহাকে এখনো কোন ধরনের কাগজপত্রাদি সরবরাহ করে নাই। তিনি উক্ত বিষয়ে এখন কিছু বলিতে পারিবেন না মর্মে জানাইলে, ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণ ক্ষোভে ফাটিয়া পড়িলে উক্ত ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চিৎকার করিয়া বলেন যে, ভুমি মন্ত্রী শুধু পরিপত্র ও সার্কুলার জারি করিয়া সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ তরান্বিত করার চেষ্টা করিলেও শর্ষের ভিতরে লুকিয়ে থাকা আবদুল মোমেনদের মত তারেক জিয়ার ক্যাডার ভূতদেরকে দ্রুত সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ হইতে প্রত্যাহার করিয়া না নিলে সরকারের উন্নয়ন মূলক কোন কার্যক্রম যথাসময়ে সরকার বিরোধী এইসমস্ত কর্মকর্তাগণ করতে দিবেন না।

তাই মাননীয় ভুমি মন্ত্রীর নিকট আমরা ক্ষতিগ্রস্থ ভুমির মালিকগণের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, কি কারণে কার নির্দেশে কেন সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য ১৬৮ কোটি টাকা ২০১৭ সালে সরকার কর্তৃক বরাদ্ধ দেওয়ার পরও মাত্র ৮ কোটি টাকার চেক প্রদান করিয়া অবশিষ্ট ক্ষতিপূরণের টাকা সমূহ প্রদান করেন নাই? তৎ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত টিমের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক সরকারের উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদানকারী সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া পরিপত্র ও সাকুলার জারী করিয়া সরকারী উন্নয়ন মূলক কাজ সমাপ্ত করা যাইবে না।

উল্লেখ্য যে, উক্ত ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আবদুল মোমেনকে কক্সবাজার জেলায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন মূলক প্রকাল্প আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ভুমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের এবং ধলঘাটা মৌজায় গভীর সমুদ্র নির্মাণের নিমিত্তে ভুমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্প সমূহেও জমির মালিকগণ শতকরা ২০% টাকাও পায় নাই।

যাহার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ সরকারের প্রতি বিরুপ মনোভাব প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই তড়িৎ উক্ত কর্মকর্তা ও তাহার সহযোগী পৃষ্ঠপোষকগণের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক সরকারের উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণ।